ঢাকা বুধবার, ০৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্র হত্যায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

ভোরের মালঞ্চ | স্টাফ রিপোর্টার জুন ১, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্র হত্যায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুরে হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম হোসাইনকে (৮) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলায় দ্বিতীয় আসামি অধ্যক্ষ বশির আহমদসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। ঘটনার ১৮ দিন পার হলেও পুলিশ বশির ও ফয়সালকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তারা এজাহারভূক্ত আসামি।

রোববার (১ জুন) দুপুরে প্রথমে শহরের আল মুঈন ইসলামী একাডেমীর সামনে মানববন্ধন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনেও মানববন্ধনে দাঁড়ায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত লোকজন মাদ্রাসার বাহিরের অংশের কাঁচ ভাঙচুর করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুরনবী, খালেদ মাহমুদ, ইকবাল মাহমুদ, নিহত সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির মাতাব্বর ও মা জয়নব বিবি প্রমুখ।

মামলা সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মাদ্রাসা থেকে নিহত সানিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে দুপুরে সানিমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।

নিহত সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির মাতব্বরের ছেলে ও মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। সে ২২ পারা কোরআনে হাফেজ ছিলেন। ঘটনার রাতেই সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সদর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫ জনের নামে মামলা করেন। বশির ছাড়া অন্যরা হলেন শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ ও ফয়সাল। এরমধ্যে ঘটনার দিন মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বশির ও ফয়সাল এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

বক্তব্যে মাওলানা নুরনবী, খালেদ মাহমুদ ও ইকবাল মাহমুদ জানায়, শিক্ষকরা বলছে সানিম আত্মহত্যা করেছে মাদ্রাসার ৩ তলায়। কিন্তু তার মরদেহ পাওয়া গেছে নিচতলার একটি কক্ষে। নিচতলায় নামানোর কোন ফুটেজ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। অভিযুক্তরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।

সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা জয়নব জানান, তাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। দফায় দফায় তাকে পিটিয়েছে। সানিম ফাঁসি দেয়নি। তার হত্যাকারীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বশির আহমেদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে ঘটনার পর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ক্লাস শেষে সবাইকে নামাজ আর খাওয়ার বিরতি দেওয়া হয়। নামাজ পড়ে সবাই খাওয়ার জন্য যায়। কিন্তু সানিম যাইনি। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় সে গামছা নিয়ে টয়লেটের প্রবেশ করে। সেখান থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

Side banner