লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীকে যদি শিক্ষক নিজ সন্তান মনে করেন। উদ্যোগ নেন সংশোধনের। তবেই তিনি যথার্থ শিক্ষক। একইভাবে অভিভাবকদের সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকায় মাদক প্রতিরোধ সম্ভব হয়ে উঠবে। কারন, পারিবারিক এবং একাডেমিক শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে মাদকদ্রব্যে অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক বলেন, মুরুব্বিদের অভিযোগ রয়েছে বর্তমান প্রজন্মের বিরুদ্ধে। তারা বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করে না। গুরুজনদের মান্য করেন না। শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে না। অনেক ক্ষেত্রে আক্রমন করে থাকেন। কথাটি মোটেও মিথ্যা নয়। আমরা প্রায় দেখতে পাচ্ছি, সমাজে এমনটি ঘটছে। এরজন্য সন্তান বা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই বোধটুকু তৈরি করতে হবে। যিনি আমাকে আদর করেন, স্নেহ করেন, ভালোবাসেন। তিনি আমাকে শাসনও করতে পারবেন। এই কাঠামো তৈরি করতে হবে আমাদের। এরজন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভুমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেক বাবা-মায়েই প্রত্যাশা, নিজ সন্তান যেন ভালো থাকে।
আরও বলেন, মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার কাজ করছে পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। জেলা প্রশাসনও প্রায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে জড়িতদের। মাদক প্রতিরোধে নূন্যতম আপোষ করা হয়না।
রাজিব কুমার সরকার বলেন, আগামীর সমাজ ও দেশ নেতৃত্ব দিবে যুব-তরুণরা। তরুণরা জাতির ভবিষ্যৎ। এখন ওই যুব-তরুণরা যদি মাদকাসক্ত হয়। তারমানে জাতি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। এই ক্ষতি কোনভাবে পুরন করা সম্ভব হবে না। এজন্য মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধ করতে হবে। সুন্দর-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে, তারণ্যের শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবদুর রহিম, উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিনসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি করা হয়। র্যালিটি কালেক্টরেট প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হল রুমে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভা পরবর্তী বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়া বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
আপনার মতামত লিখুন :