ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এমএফএস অ্যাকাউন্ট ১৮ কোটি ছাড়িয়েছে

ভোরের মালঞ্চ | অনলাইন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০১:০৭ পিএম এমএফএস অ্যাকাউন্ট ১৮ কোটি ছাড়িয়েছে

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বা এমএফএস অ্যাকাউন্ট ১৮ কোটি ছাড়িয়েছে। গত জুলাই শেষে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ১১ লাখ। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আর্থিক সেবা গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি, একই ব্যক্তি একাধিক হিসাব খোলার সুযোগসহ বিভিন্ন কারণে দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়ে এমএফএস হিসাবের সংখ্যা বেশি দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্নিষ্টরা।
সংশ্নিষ্টরা জানান, গত জুন মাস শেষে দেশে এমএফএস অ্যাকাউন্ট ছিল ১৭ কোটি ৮৬ লাখ। আর গত বছরের জুলাই শেষে এই অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৬০ লাখ। বর্তমানে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ ১৬টি এমএফএস প্রতিষ্ঠান কার্যক্রমে আছে। এর মানে, একজন সর্বোচ্চ ১৬টি পর্যন্ত এমএফএস হিসাব খুলতে পারেন। এ ছাড়া ২০১০ সালে এমএফএসের কার্যক্রম শুরুর দিকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক হিসাব খোলার সুযোগ ছিল। তবে বিভিন্ন অপরাধ হওয়ার শঙ্কায় তা বন্ধ করা হয়। বিভিন্ন সময়ে খোলা মোট এমএফএস হিসাবের অর্ধেকের বেশি বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে একই ব্যক্তি তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সব এমএফএস প্রতিষ্ঠানে হিসাব খুলতে পারেন।
গত জুলাইয়ে সরকারের প্রকাশিত জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪। আর নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬। জুলাই পর্যন্ত এমএফএস হিসাবের মধ্যে পুরুষ অ্যাকাউন্ট ১০ কোটি ৪৩ লাখ। নারী হিসাব ৭ কোটি ৬৪ লাখ। তৃতীয় লিঙ্গসহ অন্যান্য হিসাব রয়েছে ৪ লাখের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে মোট ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। আগের মাস জুনের তুলনায় যা ৫ হাজার ১২৪ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। অবশ্য আগের বছরের একই মাসের তুলনায় এমএফএসে লেনদেন বেড়েছে ১১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।
গত জুলাইতে ক্যাশ ইন হয় ২৫ হাজার ৭৮০ কোটি এবং ক্যাশ আউট ২৬ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি লেনদেন ২৪ হাজার ৪৩৫ কোটি, ব্যবসায়িক পরিশোধ ২ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা। সরকার থেকে ব্যক্তি ৮৬৯ কোটি, বেতন পরিশোধ ৩ হাজার ১৮৭ কোটি, টকটাইম কেনা ৮৭৯ কোটি এবং ১ হাজার ৮৬০ কোটি টাকার ইউটিলিটি বিল পরিশোধ হয়েছে।

Side banner