ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২

চুরির অভিযোগে যুবককে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল

ভোরের মালঞ্চ | অনলাইন ডেস্ক অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম চুরির অভিযোগে যুবককে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল

ভোলার বাংলাবাজারে চুরির অভিযোগে যুবককে শিকলে বেঁধে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত হাসান বিশ্বাস নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

 

রোববার (৫ অক্টোবর) আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

আটক হাসান বিশ্বাস জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নির্বাহী সদস্য ও উত্তর দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

 

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৫ মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, মো. তানজিল নামে এক যুবককে বেঁধে দুজন মারধর করছেন। একজনের হাতে শিকল ও অন্যজনের হাতে লাঠি। বেদম মারধর করে মোবাইল চুরিসহ বিভিন্ন স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করছিলেন তারা। পাশ থেকে একজন ভিডিও ধারণ করেন। এক পর্যায়ে শিকলে বাঁধা তানজিল মোবাইল, সাইকেল ও মসজিদের টাকা চুরির কথা স্বীকার করেন।

 

ভিডিওটি গত শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সমালোচকরা ঘটনার তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান। বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশের নজরে এলে শনিবার রাতে হাসান বিশ্বাসকে আটক করে।

 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তালজিলের মা বলেন, দু-তিন মাস আগে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তার ছেলে তানজিলকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে যায়। তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে রাত ১২টার দিকে বাড়িতে দিয়ে যায়। এ সময় তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়ে ছেলেকে মুক্ত করেন। টাকা নেওয়া দুই যুবককে তিনি চিনেন না বলে জানান।

 

আটকের আগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাসান বিশ্বাস জানান, তানজিল দীর্ঘদিন এলাকায় চুরি করে আসছিল। তার জ্বালায় এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। চুরির অভিযোগে জেলও খেটেছেন। দেড়-দুই বছর আগে তার বোনের বাসায় চুরি হয়। এতে তানজিল জড়িত জানতে পেরে তাকে ধরে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তানজিলের স্বভাব বদলায়নি। স্থানীয়দের সচেতন করতে গত ৯ সেপ্টেম্বর ভিডিওটি নিজের ফেসবুকে আপলোড করেন। সেখান থেকে ভিডিওটি নিয়ে তার প্রতিপক্ষরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

ভোলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইকবাল হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসান বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগীর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Side banner