বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় সকাল-বিকেল আড্ডা, অফিস বা ভ্রমণে এক কাপ গরম দুধ চা অনেকের নিত্যসঙ্গী। গরম চায়ের সুবাস ও মিষ্টি স্বাদ মানসিক প্রশান্তি দিলেও চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, অতিরিক্ত দুধ চা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চা-পাতার ট্যানিন ও ক্যাফেইন দুধের কিছু উপাদানের সঙ্গে মিশে শরীরে হজমের সমস্যা তৈরি করে এবং কিছু পুষ্টি উপাদান শোষণেও বাধা দেয়। দীর্ঘমেয়াদে এটি নানা জটিল স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
হজমে সমস্যা – ক্যাফেইন ও ট্যানিনের কারণে পেট ফাঁপা, অম্লভাব, গ্যাস ও বদহজমের ঝুঁকি বাড়ে।
লোহা (Iron) শোষণে বাধা – চায়ের ট্যানিন দুধের সঙ্গে মিশে আয়রন শোষণ কমিয়ে দেয়, ফলে রক্তশূন্যতার ঝুঁকি বাড়ে।
ঘুমের ব্যাঘাত – চায়ে থাকা ক্যাফেইন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে, নিয়মিত বেশি খেলে অনিদ্রা বা ঘুমের মান নষ্ট হতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি – চিনি ও দুধের কারণে ক্যালোরি বেশি হয়; নিয়মিত সেবনে ওজন বাড়তে পারে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি – অতিরিক্ত চিনি ও সম্পৃক্ত চর্বির কারণে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া – রক্তশূন্যতা ও ডিহাইড্রেশনের কারণে ত্বক নিস্তেজ হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্লভাব – খালি পেটে বা অতিরিক্ত দুধ চা খেলে পেটের ক্ষতি ও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে।
হাড় দুর্বল হওয়া – কিছু গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত ক্যাফেইন ক্যালসিয়াম শোষণেও বাধা দিতে পারে, ফলে দীর্ঘমেয়াদে হাড় ক্ষয় বাড়তে পারে।
– দিনে এক-দু’কাপের বেশি দুধ চা না খাওয়াই ভালো।
– খালি পেটে বা খাবারের সঙ্গে সঙ্গে চা না খাওয়া উত্তম।
– কম চিনি বা চিনি ছাড়া চা খেলে ক্যালোরি ও ঝুঁকি কমে।
– মাঝে মাঝে লেবুর শরবত, হারবাল টি, গ্রিন টি ইত্যাদি বেছে নেওয়া যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :