বাংলাদেশে প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এবার অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক মর্যাদা। ২০২৫ সালের জন্য ‘ওয়ার্ল্ড এভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার (ইবিএইচসি) ডে’ কর্তৃপক্ষ বিএমইউ-কে ‘এভিডেন্স অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়েছে, এই স্বীকৃতি বিএমইউকে বিশ্বের নামি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাতারে স্থান দিয়েছে, যারা প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছে। বিএমইউ’র ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম ভিডিওগ্রাফি ক্যাটাগরিতে এবং আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ডা. দীনে মুজাহিদ ফারুক ওসমানী ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ক্যাটাগরিতে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই স্বীকৃতি বিএমইউ’র গবেষণা, চিকিৎসা উৎকর্ষতা এবং তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে অঙ্গীকারের প্রতিফলন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অধ্যাপক শাহিনুল আলম প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা চলমান রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইভিডেন্স-বেইজড মেডিসিন বা প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা চর্চা চিকিৎসা ব্যয় কমাতে সহায়ক হবে। একই রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ও পরীক্ষার অপ্রয়োজনীয় পার্থক্যও এতে হ্রাস পাবে। পাশাপাশি, মেডিক্যাল ও ক্লিনিক্যাল অডিটে এর প্রয়োগ চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণায় গুণগত পরিবর্তন আনবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা বলেন, এই বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। তারা ভবিষ্যতেও উদ্ভাবন ও প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা শিক্ষায় নেতৃত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এই অর্জন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের জন্য এক গর্বের মাইলফলক, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে।
আপনার মতামত লিখুন :