ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে শ্বশুর বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ পরিবারের সবাই পলাতক

ভোরের মালঞ্চ | স্টাফ রিপোর্টার এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম লক্ষ্মীপুরে শ্বশুর বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ পরিবারের সবাই পলাতক

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাসনুর আক্তার মুন্নি (১৯) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই তরুণীর স্বামী মো. রিয়াজসহ পুরো পরিবার।

 

গত মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার নলডগি গ্রামের সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।


নিহতের পরিবারের দাবি, মুন্নিকে হত্যা করে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।


শনিবার (১৩ এপ্রিল) মুন্নি হত্যার বিচার দাবি করে সাংবাদিকদের এসব বলেন তারা।


নিহত তরুণী নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০ নং আন্ডার চর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
জানা যায়, ১৮ মাস আগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগি গ্রামের নাজাল হকের ছেলে মো. রিয়াজের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাসনুর আক্তার মুন্নির বিবাহ হয়। বর্তমানে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।


নিহত মুন্নির পরিবার বলেন, বিয়ের পর থেকে মুন্নির স্বামী মো. রিয়াজ বিভিন্নভাবে টাকা দাবি করতো। টাকা না পেলে মুন্নিকে শারীরিক নির্যাতন করতো। এছাড়া মৌসুমি ফলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের জন্য চাপ প্রয়োগ করতো।


এছাড়া মুন্নির দেবর আলমগীর নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিতো মুন্নিকে। কিন্তু মুন্নি রাজি না হওয়ায় আলমগীর মানসিক নির্যাতন করতো। ঘটনার দিনও মুন্নিকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। মুন্নি আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।


এ বিষয়ে জানতে রিয়াজের বাড়িতে গেলে ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।


স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে।


স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল হোসেন বলেন, রাতে রিয়াজ ও তার পরিবারের লোকজন আমার বাড়িতে এসে জানান মুন্নি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেই। এছাড়া মুন্নির পরিবারকেও বিষয়টি জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে। এরপর থেকে রিয়াজ ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে।


চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি। রিপোর্ট পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

Side banner