ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

কুশাখালীতে জমি দখল ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে আ.লীগ নেতা’র বিরুদ্ধে

ভোরের মালঞ্চ | সংবাদদাতা এপ্রিল ২২, ২০২৪, ০৯:০২ পিএম কুশাখালীতে জমি দখল ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে আ.লীগ নেতা’র বিরুদ্ধে

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল, মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা শামছুদ্দিন সামছু’র বিরুদ্ধে। তিনি সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুশাখালী ইউনিয়নের কল্যানপুর গ্রামের বাসিন্দা। 


জানা যায়, সামছুদ্দিন সামছু সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের সান্নিধ্যে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা বনে যান। সেটাকে পুঁজি করে নিজ এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। অসহায় মানুষের জমি দখল, মামলা দিয়ে হয়রানি, শালিশ বানিজ্যে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তার ভয়ে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদ করতে গেলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।


সম্প্রতি কল্যানপুর গ্রামের সুলতান মেম্বার বাড়ির সৈয়দ আহমেদের দখলকৃত সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে নিজের নামের রেকর্ড করে নেয় সামছুদ্দিন। বিষয়টি জানতে পেরে রেকর্ড বাতিলের আবেদন করে সৈয়দ আহমেদ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সামছুদ্দিন। বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। গত ১১এপ্রিল ঈদের নামাজ শেষে পুরাতন দাসেরহাট এলাকায় সামছুদ্দিনের নেতৃত্ব সৈয়দ আহমেদের মেয়ের জামাই মোঃ পারভেজের উপর হামলা করে সুমন, বাদল, রাতেন, জামাল, শাহাদাত, সাদ্দাম, মুক্তাসিম। পরবর্তীতে পুলিশ এনে এলাকায় আংতক তৈরি করে সে। রাতে আবার দলবল নিয়ে 


সৈয়দ আহমেদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় সৈয়দ আহমেদের ছেলে নোমানকে পিছিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় ২০এপ্রিল সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমন্বয় একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বৈঠকের আগেই সামছুদ্দিন পুলিশ পাঠিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দেয়। এতে বিচার থেকে বঞ্চিত হয় পারভেজ ও তার পরিবার।


পারভেজ অভিযোগ করে বলেন, আমার শশুরের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করায় সামছুদ্দিন আমার উপর হামলা চালায়। এঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব নিয়ে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু ২০এপ্রিল বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সকালে পুলিশ এসে এলাকায় অবস্থান নেয় এবং আমাদের পক্ষের লেকজনকে চলে যেতে বলে। এছাড়া শালিশদাররাও আসেন নি।


সৈয়দ আহমেদ বলেন, আমরা পাকিস্তান আমল থেকেই যে জমিতে বসবাস করছি সে জমি সামছুদ্দিন অবৈধভাবে রেকর্ড করেছে। আমরা রেকর্ড বাতিলের আবেদন করি। এতেই সামছু আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি সহ হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।


স্থানীয়রা বলেন, সামছুদ্দিন আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। কিছু বললে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে।


শালিশের বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ গোলন্দাজ বলেন, বিরোধটি যেহেতু মারামারির তাই চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি সাহেব বলছেন খোলা জায়গায় না বসে ফাঁড়ি অথবা থানায় বসার জন্য। সেখানেই বিষয়টি সমাধান করা হবে। পরবর্তীতে দুই পক্ষকে বলা হয়েছে বৈঠক হবে না।


অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুদ্দিন সামছুর মোবাইল ফোনে একাধিক কল দিয়েও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। 


চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বৈঠকটি দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়িতে করার জন্য বলেছি এবং ফাঁড়ির ইনচার্জকে দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টি সমাধান করার জন্য।
 

Side banner