ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি আ.লীগ নেতার

ভোরের মালঞ্চ | স্টাফ রিপোর্টার এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১১:২৩ পিএম চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি আ.লীগ নেতার

লক্ষ্মীপুরে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দিঘলী বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি তুলেন ভুক্তভোগী।

 

অভিযুক্ত মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ জাবেদ সদর উপজেলার ১৩ নং দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক।  ভুক্তভোগী মো. আজগর হোসেন চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ও দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব দিঘলী এলাকার মফিজুর রহমানেরদ ছেলে।

 

সংবাদ সম্মেলনে মো. আজগর হোসেন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করে আসছি। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে থানা ছাত্রলীগেও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি সফলতার সঙ্গে। দলীয় নির্দেশে বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ে কাজ করেছি। এলাকার অসহায় ও দুস্থদের নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছি। উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন দপ্তর থেক সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দিয়েছেন তাদেরকে। দলের সিনিয়র নেতাদের অনুপ্রেরণায় দিঘলীতে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে ইউনিয়নের সকলের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। দলীয় এসব নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমি জাবেদ চেয়ারম্যানের চক্ষুশূল হয়েছি।


সম্প্রতি তিনি হয়রানি ও সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমার নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমার ভালো কাজ ও জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে জাবেদ চেয়ারম্যান মামলাটি করেছেন। তিনি শুধু মামলা করেই ক্ষান্ত হননি। অপরিচিত একাধিক মোবাইল নাম্বার থেকে কল দিয়ে আমাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। সালাহ উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ জাবেদ চেয়ারম্যানের এসব কর্মকাণ্ডে আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কিত।    


তিনি আরও বলেন, গত ২০১৫ সালে আমার বড় ভাই যুবলীগ নেতা বাবরকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত আসামীরা বর্তমানে বিদেশে পলাতক রয়েছেন। কিন্তু জাবেদ চেয়ারম্যানের ভাই তাদের সঙ্গে বিদেশে গোপন বৈঠক করেছেন। সেখানে আসামীদের মামলা থেকে অব্যহতি ও মামলা খারিজের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই বৈঠকের প্রেক্ষিতে মামলার সাক্ষীদের জাবেদ চেয়ারম্যান তাঁর লোক দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। যাতে আদালতে সাক্ষী দিতে তারা উপস্থিত না হয়।


ছাত্রলীগ নেতা মো. আজগর হোসেন বলেন, জাবেদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। তিনি ও আমি দুজনে একই দলের কর্মী। কিন্তু তিনি কেন এগুলো করছেন, সেটি আমার জানা নেই। আমি ও আমার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ওনার এসব বিষয়গুলো উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাদের জানাবো হবে। পাশাপাশি লিখিতভাবে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হবে। 


অভিযোগগুলো অস্বীকার করে ১৩ নং দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী প্রকাশ জাবেদ বলেন, মিথ্যা না সত্য মামলা করেছি সেটি আদালতে প্রমান হবে। তাছাড়া আজগরকে প্রতিদ্বন্ধী ভাবার কিছু নেই। তাকে আমি কিংবা আমার পরিচিত কেউ মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়নি। 

Side banner