লক্ষ্মীপুরে চোর অপবাদ দিয়ে স্কুল শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবুকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পেটানোর ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আটকদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের ছেলে শহীদ আলম এবং একই এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইমন হোসেন ও শ্রাবণ।
পুলিশ জানায়, রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী আক্তারের ভাই মাসুদুর রহমান মাসুদ বাদী হয়ে সুমন ওরফে প্যাঁচা সুমনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী আক্তার লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের লাহারকান্দি এলাকার মৃত লকিয়ত উল্যাহর ছেলে। তিনি ঢাকার ক্যামব্রিজ স্কলারর্স স্কুলের শিক্ষক।
জানা গেছে, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুব আলীর পোল এলাকায় শিক্ষক আক্তারের ওপর বর্বর এ নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ ঘটনার ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষকের পরিবার জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়িয়ে বেড়াতে আসেন স্কুল শিক্ষক বাবু। শুক্রবার রাতে পৌরসভার আইয়ুব আলী পোলের গোড়া এলাকায় ছোট ভাই মাসুদুর রহমানের বাসায় বেড়াতে যান তিনি। ডায়বেটিস থাকায় রাতে হাঁটতে বের হন বাবু। এ সময় প্যাঁচা সুমন, সাইমন হোসেন, অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন আলো, মমিন উল্যাহ ও সুমনসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল বখাটে ওই শিক্ষককে চোর অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে লাঠিপেটা করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শিক্ষক পরিবারের অভিযোগ, বখাটেরা তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, শিক্ষককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :