ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে এমপির হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সুষ্ঠুভোট নিয়ে শঙ্কা

ভোরের মালঞ্চ | স্টাফ রিপোর্টার এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০৯:১৫ এএম লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে এমপির হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সুষ্ঠুভোট নিয়ে শঙ্কা

 

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সুষ্ঠুভোট নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। 

 

সাংবাদিক সম্মেলনে ওমর ফারুক ইবনে হুসাইন ভুলু বলেন, আমাদের নির্বাচনে এমপি গোলাম ফারুক পিংকু সরাসরি হস্তক্ষেপ করছেন। এতে এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বোরহান চৌধুরীর লোকজনের দফায় দফায় হামলা ও আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। আমি সুষ্ঠুভোট চাই।

 

তিনি আরও জানান, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে এমপি পিংকু গত শনিবার নতুন তেওয়ারীগঞ্জে এসেছেন। সেখানে বৈঠকে বসে অটোরিকশার প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরীর সঙ্গে নেতাকর্মীদের সমঝোতা করে দেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নতুন তেওয়ারীগঞ্জ বাজারে তার পথসভায় বোরহান চৌধুরীর লোকজন দফায় দফায় হামলা করেন। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে এমপির নাম ভাঙিয়ে বোরহান চৌধুরী গণসংযোগ ও ভোট চাচ্ছেন।

একইভাবে তার (ভুলু) কর্মীদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। কয়েকটি স্থান থেকে ইউছুফ মাঝি ও মো. দুলালকে তুলে নিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া এলাকায় নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে লাগানো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বোরহান চৌধুরীর লোকজন যন্ত্রপাতি চুরি করে নিয়ে গেছে। এসব ঘটনায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। 

 

অভিযুক্ত প্রার্থী ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যে। বহিরগতদের এনে তিনি গণসংযোগ করছেন। ওইসব গণসংযোগে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য শুনে জনগণ বাধা দিয়েছে। এর সঙ্গে আমি বা আমার কেউ জড়িত নয়। 

 

লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, আমরা সুষ্ঠু ও গ্রহণ নির্বাচন চাই। জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে। আমার নাম ভাঙিয়ে ভোট চাওয়ার ঘটনা ভুয়া। এ ধরণের কোন সুযোগ নেই। ভুলু ভুয়া অভিযোগ এনেছেন।আমিও কারো জন্য কাজ করি না। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আমি সুষ্ঠুভাবে ভোটের গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে বলেছি। 

 

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, কিছু অভিযোগ শুনেছি। তবে লিখিতভাবে কেউই কোন অভিযোগ দেইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ভুলু ও বোরহান ছাড়াও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে আরও ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আল মাহমুদ ইবনে হুছাইন (মোটরসাইকেল), মনির মাহমুদ নোবেল (টেলিফোন), উসমান হোসেন (চশমা), মাহফুজুর রহমান (ঘোড়া), শাহেদা আক্তার (রজনীগন্ধা) ও সবুজের রহমান (ঢোল)।

আগামি ২৮ এপ্রিল তেওয়ারীগঞ্জসহ সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ, দালালবাজার, লাহারকান্দি ও দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। 

Side banner