কম্বোডিয়া অভিযোগ করেছে যে, থাইল্যান্ড তাদের বিতর্কিত সীমান্তে লাউডস্পিকারে ভূতের কান্নার মতো শব্দ বাজিয়ে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালাচ্ছে। জুলাই মাসে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটছে বলে জানানো হয়েছে। কম্বোডিয়ার মানবাধিকার কমিশন বলেছে, থাই সৈন্যদের দ্বারা সম্প্রচারিত এই তীব্র, উচ্চ-স্বরের শব্দ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার হুমকি সৃষ্টি করছে।
কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা এবং বর্তমান সেনেট প্রেসিডেন্ট ৭৩ বছর বয়সী হুন সেন ফেসবুকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, কম্বোডিয়ার মানবাধিকার কমিশন এই তীব্র, উচ্চ-স্বরের শব্দ সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। সেন ১১ই অক্টোবর তারিখের একটি চিঠি শেয়ার করেছেন, যা মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ককে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে থাই-কম্বোডিয়া সীমান্ত বরাবর মনস্তাত্ত্বিক ভীতি ও হয়রানির অংশ হিসেবে এই বিরক্তিকর শব্দ ব্যবহারকে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করা হয়েছে। কম্বোডিয়ার মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, তারা সীমান্ত বরাবর গ্রামগুলোর কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক নাগরিকদের কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট পেয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, থাই সামরিক ইউনিটগুলো রাতভর লাউডস্পিকারে ভূতের কান্নার মতো ভুতুড়ে শব্দ এবং এরপর বিমানের ইঞ্জিনের শব্দ সম্প্রচার করছে। কমিশন আরও জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই অস্বস্তিকর শব্দের কারণে মানুষের ঘুম ব্যাহত হচ্ছে, উদ্বেগ বাড়ছে এবং শারীরিক অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য থাই সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র দ্য গার্ডিয়ান।








-20251026033135.jpg)































আপনার মতামত লিখুন :