ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁচানো গেলো না সোনিয়াকে, বিদ্যুতস্পৃষ্টে শেষ পুরো পরিবার

ভোরের মালঞ্চ | অনলাইন ডেস্ক মার্চ ২৭, ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম বাঁচানো গেলো না সোনিয়াকে, বিদ্যুতস্পৃষ্টে শেষ পুরো পরিবার

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী, স্ত্রী এবং তিন সন্তানসহ একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যুর পর বাঁচানো গেলো না শিশু সোনিয়াকে (১২)। তার মৃত্যু মধ্য দিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো  ছয় জনে এবং পরিবারটির আর কেউ বেঁচে রইলো না।

 

বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

 

সোনিয়া স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। 

 

হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকের জানান, শিশুটিকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে আমাদের এখানে আনা হয়। কিন্তু আগেই শিশুটির মৃত্যু হওয়ায় আর ভর্তি করা হয়নি।

 

এর আগে সোনিয়া গুরুতর অবস্থায় সিলেটের এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার পর সেখানে থেকে ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়।

 

নিহত অন্যরা হলেন- বাবা ফয়জুর রহমান (৫০), মা শিরিন বেগম (৪৫), বোন সামিয়া (১৬), সাবিনা (১৩), ভাই সায়েম উদ্দিন (৮)। মঙ্গলবার ভোরে জুড়ীর পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামের মখলিছ মিয়ার বাড়িতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফয়জুর রহমান পরিবারের ছয় সদস্যসহ একটি টিনের ঘরে বসবাস করতেন। আর ওই ঘরের ওপর দিয়ে ৩৩ হাজার কেভির উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুতের লাইন গেছে। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টিতের বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরের চালে পড়ে আগুন ধরে যায়।

 

 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের এসে ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার আগেই ঘরে থাকা পাঁচ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান।   

Side banner