লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণকাজে ধীরগতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে উপজেলার চরলরেন্স এলাকায় একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেন এলজিইডি। সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে। এলজিইডির বাস্তবায়নে চারতলা বিশিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের মার্চে। এরপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আশ্রয়কেন্দ্রটির কাজ শেষ হয়নি। এখনো বাকি রয়েছে ভিতরে মেঝে ঢালাই, দরজা-জানালা সংস্থাপন ও রং করার কাজ। এছাড়া নিচতলার সিঁড়ির অংশ ফাঁটা ও ভাঙা দেখা যায়, উপজেলার চরপাগলা গ্রামের এক তলা বিশিষ্ট নির্মীয়মাণ দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্রের একটি কাজ মাত্র অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে ধীরগতিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মীয়মাণ ভবনের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৩০-৪০ ভাগ। এতে নিম্নমানের রড-সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। ভেতরে-বাইরে বাথরুমে পানি ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় দরজা-জানালা সংকট রয়েছে। মেঝেতে ফাঁটা দেখা যাচ্ছে। এমনকি ইটের কাজ শেষ না হতেই (ঢালাই) কংক্রিটের ব্যবহার হচ্ছে। দরজার মাপ না মিললে কাজ করছে নতুন করে চিহ্নিত ও ইটবাঁধা। মানসম্মতভাবে কাজ হচ্ছে না বলছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এক ইউপি সদস্য বলেন,
“সরকারি বরাদ্দে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ মানুষের জন্য, সরকারি অর্থের এমন দুর্নীতি কাম্য নয়। ভবনের ফাটল ও নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা এর সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।”
একাধিক শ্রমিক জানান,
“প্রায় ৫-৬ মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অর্ধেক টাকা দিয়ে চুপ রয়েছে। আমাদের পাওনা টাকা নেই (বকেয়া রয়ে গেছে)। কাজ করলে টাকা দিবে, না দিলে দিবে না।”
এবিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন, দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কর্মকর্তা (উপজেলা প্রকৌশলী) মো. আবু জাফর হোসেনকে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
কমলনগর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা। আমরা সংশ্লিষ্ট টিকাদারসহ উচ্চকর্তৃপক্ষের তদন্ত দাবি করছি।
আপনার মতামত লিখুন :