ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ভুয়া পুলিশ স্টেশন বানিয়ে প্রতারণা, নয়ডায় গ্রেফতার ৬

ভোরের মালঞ্চ | অনলাইন ডেস্ক আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম ভুয়া পুলিশ স্টেশন বানিয়ে প্রতারণা, নয়ডায় গ্রেফতার ৬

রীতিমতো অফিস বসিয়ে গোয়েন্দাগিরি শুরু করে দিয়েছিল কয়েকজন। ভাবসাব এমন ছিল, যেন ধরলে আর ছাড় পাওয়ার জো নেই। কদিনেই এলাকায় বেশ তোলপাড়ও ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারলো না। ধরা পড়তে হলো পুলিশের হাতে।

 

ঘটনাটি ভারতের নয়ডার। সেখানকার গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশের অভিযানে একটি ভুয়া পুলিশ স্টেশন ধরা পড়েছে। সেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ নামে একটি অফিস চালিয়ে মানুষকে প্রতারণা করছিল ছয় যুবক। সবাই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। 

 

পুলিশ জানায়, এই চক্রটি সরকারি কর্মকর্তা সেজে অর্থ আদায় করত। অফিসে পুলিশ সদৃশ রঙ, লোগো ও ইন্টারপোলসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম ব্যবহার করা হতো। মন্ত্রণালয়ের জাল সনদপত্র, ভুয়া পরিচয়পত্র ও সিলমোহর দিয়ে নিজেদের প্রভাবশালী হিসেবে উপস্থাপন করত।

 

রোববার (১০ আগস্ট) মধ্যরাতে সেক্টর-৭০ এর বিএস-১৩৬ নম্বর ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। এখানে সরকারি সংস্থার মতো সাজানো অফিসে তাদের ধরা হয়। অভিযানে ভুয়া সনদপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, এটিএম কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, মোবাইল ফোন, সাইনবোর্ড ও নগদ ৪২ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়।

 

ডিসিপি সেন্ট্রাল নয়ডা শক্তি মোহন আরস্থি জানান, এই চক্রটি মাত্র ১০ দিন আগে অফিস চালু করেছিল। ৪ জুন ভাড়া নেওয়া জায়গায় তারা বোর্ড লাগিয়ে পুলিশ বাহিনীর সমান্তরাল একটি কাঠামো তৈরির চেষ্টা করছিল। এখন পর্যন্ত অল্প কিছু মানুষকে টার্গেট করলেও আরও ভুক্তভোগী চিহ্নিতের কাজ চলছে।

 

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— বিবাশ চন্দ্র অধিকারী, তার ছেলে অরঘ্য অধিকারী, বাবুল চন্দ্র মণ্ডল, পিন্টু পাল, সম্পদ মল ও আশীষ কুমার।

 

বিবাশ চন্দ্র অধিকারীর কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, ৬টি চেকবই, ১৬টি রাবার স্ট্যাম্প, ৯টি আইডি কার্ড, ট্রাস্ট ডিড ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। অন্যদের কাছ থেকেও একাধিক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

 

পুলিশ জানায়, চক্রটি অনলাইনে ভুয়া আন্তর্জাতিক সনদপত্র প্রদর্শন করে নিজেদের বৈধ প্রমাণ করার চেষ্টা করত। এমনকি যুক্তরাজ্যে তাদের শাখা অফিস আছে বলেও দাবি করত।

 

তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার প্রতিরোধ) আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

Side banner