ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

মানবিক পুলিশ সদস্য লক্ষ্মীপুরের মানিক

ভোরের মালঞ্চ | স্টাফ রিপোর্টার আগস্ট ২৪, ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম মানবিক পুলিশ সদস্য লক্ষ্মীপুরের মানিক

ভবঘুরে, মানসিক ভারসাম্যহীন বা শারীরিক অসুস্থ দেখলেই ছুটে যান পুলিশ সদস্য মোঃ আবুল হোসেন মানিক। নেন খোঁজ খবর। স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চলে তার সংগ্রাম। এ পর্যন্ত ২২জন ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন এ পুলিশ সদস্য। করোনাকালিন ভবঘুরে, মানসিক ভারসাম্যহীনদের আপনজন ছিলেন মানিক। মানিক না গেলে জুটতো ঐ সব মানুষদের খাবার। তার এমন কাজে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।


মানিকের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামে। তিনি ঐ গ্রামের মনির উদ্দিন হাজ্বী বাড়ির মোঃ রুহুল আমিনের ছেলে।


বর্তমানে মানিক চাঁদপুর জেলা পুলিশে  কর্মরত রয়েছেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন তিনি।


জানা যায়, চাঁদপুর জেলা পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত মানিক। এরআগে চাকুরীর সুবাদে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে ছিলেন তিনি। যেখানে ছিলেন মানবিক কর্মকান্ড চালিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত ৪৩জন ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে নিজ অর্থায়নে রিহ্যাব সেন্টারের মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়েছেন। তার মধ্যে ২২জনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন মানিক।


এদের মধ্যে ২৩বছর পর ভুট্টু দেওয়ান, ১৩বছর পর হাবিবুর ও ৬বছর পর মোঃ টিপুকে ফিরে পেয়েছে তাদের পরিবার।
মোঃ আবুল হোসেন মানিক জানান, ছোটবেলা থেকেই মানবিক কাজ করতে ভালো লাগে। মানবিক কাজের অনুপ্রেরণা তার পরিবার ও মামা এড. মুরাদ আল হাসান চৌধুরী। নিজের উপার্জনের টাকা দিয়েই করছেন মানবিক এসব কাজ। 


সম্প্রতি চাঁদপুর কালি বাড়ি রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মানিককে ঘিরে আছেন কয়েকজন। সবার মধ্যে একটা উল্লাস বিরাজ করছে। কারণ স্টেশনে থাকা ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন তিনি। প্রতিনিয়তই চলে তার এমন কর্মকান্ড৷ এ ধরনের কাজ করতে তার ভালো লাগে বলে জানান।


তিনি বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন এসব মানুষদের নিয়ে কাজ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। আমি কয়েকবার আক্রমনের শিকারও হয়েছি। তারপরও আমি থেমে যাই নি। আমার চাকুরী পাশাপাশি অবসর সময় গরিব, অসহায়,  মানসিক ভারসাম্যহীনদের পাশে থাকার চেষ্টা করি।

চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মানিকের মহৎ কাজগুলো আমাদের পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এ ধরণের মানবিক কাজে জেলা পুলিশ সবসময় তাকে উদ্বুদ্ধ করবে।
 

Side banner