ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাবার ইচ্ছা পূরণে গ্রামে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন ডা: রাশেদ আলম

ভোরের মালঞ্চ | সংবাদদাতা জানুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম বাবার ইচ্ছা পূরণে গ্রামে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন ডা: রাশেদ আলম

বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে গত ১ বছর যাবত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডা: মো. রাশেদ আলম। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিজ বাড়ির আঙিনায় প্রতি শুক্রবার তিনি এ সেবা প্রদান করেন। এতে বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগীরা এসে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

 

ডাক্তার রাশেদ আলম ঢাকার আনোয়ারা মেডিকেল এন্ড ফিজিওথেরাপির ফিজিও থেরাপি বিশেষজ্ঞ এবং রামগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর শ্রীপুর সেলিম পাটোয়ারী বাড়ির মো. সেলিম পাটোয়ারীর সন্তান।

 

জানা যায়, ডা: রাশেদ আলমের বাবার ইচ্ছায় তিনি প্রতি শুক্রবার বাড়ির আঙিনায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেন। এতে রামগঞ্জ ছাড়া হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর সহ দূর দূরান্ত থেকে রোগি আসেন তারা কাছে। ডা: রাশেদ আলম বাত, ব্যাথা, প্যারালাইসিস, রিহ্যাব: ও ফিজিও বিশেষজ্ঞ। তিনি বাত-ব্যাথা, প্যারালাইসিস, হাঁটু ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, ঘাড় ব্যাথা, পায়ের গোড়ালির ব্যাথা, মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া, জয়েন্ট ও মাংসপেশির ব্যাথা, হাত-পা ঝিমঝিম ওরঅবস হয়ে যাওয়া, জন্মগত শারিরীক অক্ষমতা, প্লাস্টারের পরে জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয় ও মেরুদণ্ডের ব্যাথার চিকিৎসা করে থাকেন।

 

লক্ষ্মীপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আবুল কালাম বলেন, আমার স্ত্রীর অনেক দিন থেকে বাতের ব্যাথা, হাতের জয়েন্টে ব্যাথা, কোমরে ব্যাথার সমস্যায় ভুগছে। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুদিন ভালো থাকলেও এখন আবার ব্যাথা বেড়েছে। তাই ডাঃ রাশেদ আলমের কাছে আসছি। উনি কোন টাকা নেন না। ১ মাস যাবত আমরা চিকিৎসা নিচ্ছি। ঔষুধগুলোও ফ্রি দিচ্ছে।

 

এছাড়া চিকিৎসা নিতে আসা আরো কয়েকজন বলেন, ডাঃ রাশেদ আলম দীর্ঘদিন থেকে এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তার চিকিৎসা ভালো। এছাড়া বিনামূল্যে হওয়ায় অসহায় মানুষও চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে।

 

ডাঃ রাশেদ আলমের পিতা মো. সেলিম পাটোয়ারী বলেন, আমি একসময় বিদেশ ছিলাম। বিদেশে থেকে ছেলেকে পড়ালেখা করিয়েছি। আমার ইচ্ছা ছিলো এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার। তাই আমার ছেলেকে বলেছি এলাকার মানুষের সেবা করার জন্য। তাইতো সে ঢাকা থেকে প্রতি শুক্রবার ছুটে আসেন। তবে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একটি বেডে রোগিদের থেরাপি দিতে হয়। এতে অন্য রোগিরা অপেক্ষায় থাকতে হয়। এছাড়া বিনামূল্যে ঔষুধ দিতে অনেক খরচ, এতে সব সময় ওষুধ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তাই অন্যরাও এ মানবসেবায় এগিয়ে আসা উচিত।

 

ডাঃ রাশেদ আলম বলেন, প্রায় ১৩ বছর যাবত আমি ঢাকায় চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। বাবার ইচ্ছায় গত একবছর যাবত এলাকার মানুষের সেবা করছি। দিন দিন রোগিও বাড়ছে। গত ১ বছরে প্রায় ৫ হাজারের মতো রোগিকে বিনামূল্যে সেবা দিয়েছি। এতে আমাদের প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। দিনদিন রোগি বাড়ার সাথে সাথে সীমাবদ্ধতাও বাড়ছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জামসহ ওষুধ সংকট রয়েছে। তাই অন্যরাও এগিয়ে আসলে চিকিৎসা সেবা দিতে সহজ হবে।

Side banner