সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত লক্ষ্মীপুরের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে যুবদলের প্রবাসী নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নিহতের স্ত্রীর হাতে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেওয়া হয়।
নিহত নুরুল আলম সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার রৌসন গাজী বাড়ির বাসিন্দা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া। এছাড়াও ছিলেন, সদর উপজেলা পশ্চিম বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর করিম মিজান, যুগ্ন আহ্বায়ক এডভোকেট জহিরুল ইসলাম, আবদুল হান্নান নাসির, দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর করিম লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিক, যুবদল নেতা ইউসুফ হোসেন, বাহার উদ্দিন খলিল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. লিটন হোসেন প্রমূখ।
আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, জুলাই আন্দোলন সহ আওয়ামী লীগের শাসনামলের সকল অপকর্ম বিশ^দরবারে তুলে ধরেছে বিএনপির (প্রবাসী) নেতাকর্মীরা। স্বৈরাচার হাসিনার দুঃশাসনের ফিরিস্তি তুলে ধরে সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব ছিল প্রবাসীদের উপস্থিতি। জীবন ও জীবিকার মায়া না করে দেশের জন্য তাদের এই আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়।
প্রবাসে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা শুধু দেশ নয় দেশের মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বিপদ-আপদে সহযোগিতা করার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে আমরা সকলে (দেশ-প্রবাসী) একই পরিবার।
আরও বলেন, নুরুল আলম দেশে থাকাকালীন স্বৈরাচার হাসিনা বিরোধী সব আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরাতে সৌদি আরব যায়। কিন্তু সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা যায়। এতে তাঁর পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়ে। আমি পূর্বেও তাদের খোঁজ-খবর নিয়েছি এবং সহযোগিতা করেছিলাম। এখন প্রবাসী যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান আনোয়ারসহ অন্যান্যদের পাঠানো সহযোগিতা পরিবারটির কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়া ঘর নির্মাণ ও ভবিষ্যতে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
আপনার মতামত লিখুন :