ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২

লক্ষীপুর পৌরসভায় মাসিক ৬৫ লাখ উদ্বৃত্ত‍‍`র পরও ঋণ ২৬ কোটি টাকা: প্রশাসক জসিম উদ্দিন

ভোরের মালঞ্চ | ফরহাদ হোসেন সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম লক্ষীপুর পৌরসভায় মাসিক ৬৫ লাখ উদ্বৃত্ত‍‍`র পরও ঋণ ২৬ কোটি টাকা: প্রশাসক জসিম উদ্দিন

লক্ষ্মীপুর পৌরসভা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পৌরসভায় নিয়মের কোন বালাই ছিল না। যেখানে যাচ্ছি, যেটি ধরছি, সেখানেই অনিয়মে ভরা। অতিত ইতিহাস খুবই খারাপ। ২৬ কোটি টাকা ঋণ। এরমধ্যে সাড়ে ৪ কোটি বিদ্যুৎ বিল। কর্মচারিদের বেতন বকেয়া ৬ কোটি টাকা। কিন্তু প্রতি মাসে খরচ বাদে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত থাকে। এত টাকা উদ্বৃত্ত থাকার পরেও কেন, ২৬ কোটি টাকা ঋণ হলো। সেই প্রশ্নের যে উত্তর পাই। তা আপনাদের বলা যাবে না, তবে আপনারা অবগত আছেন। 

লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপনি বিতানে পৌরসভা কার্যালয় স্থানান্তরিত উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (১ সেপ্টম্বর) দুপুরে পৌর শহরের চকবাজারস্থ এলাকার সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠানটি হয়। 


এরআগে ফিতা কেটে নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চৌমুহনী এস.এ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর জেড.এম ফারুকী, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া তফন, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী, বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবী, পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হোসেন, সাংবাদিক আ.হ.ম মোস্তাকুর রহমান, সাইদুল ইসলাম পাভেল, ফরহাদ হোসেন প্রমূখ। 

জসিম উদ্দিন বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তারপরও সকল কিছু মোকাবেলা করে পৌরবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সীমাবদ্ধতা থাকায় ইচ্ছা থাকলে অনেক কিছু করতে পারছি না। তবে পৌরবাসীর প্রতি অনুরোধ। আমার কিংবা পৌরসভার সমস্যাগুলো। সর্বপ্রথম আমাকে জানাবেন। যদি আমি ব্যবস্থা না নেয়। অথবা আমার জবাবে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে বিদ্রুপ মন্তব্য ও প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিবেন। 

উন্নয়ন কাজের গুনগত মানে অসন্তোষ পৌরবাসী উল্লেখ করে পৌরসভা প্রশাসক বলেন, কয়েকটি রাস্তা যথাযথভাবে সংস্কার হয়নি। সেগুলো তালিকা আমরা করেছি। সে অনুযায়ী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। কোথায় পুনরায় সংস্কারে বাধ্য করেছি ঠিকাদারকে। যে কয়েকজন করেনি, তাদের কাজের টাকা (বিল) দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া অন্যান্য কিছু সেবার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ওইসব অভিযোগের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। 
 

Side banner