ঢাকা বুধবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২

শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু কাল, প্রস্তুত ৩৩ হাজারের বেশি মণ্ডপ

ভোরের মালঞ্চ | অনলাইন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু কাল, প্রস্তুত ৩৩ হাজারের বেশি মণ্ডপ

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামীকাল (রোববার) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে। পাঁচ দিনব্যাপী এই মহোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে।

 

এ বছর উৎসবের পরিধি উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদেশে মোট ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৮৯৪টি বেশি।

 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৫৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে মণ্ডপ নির্মাণ ও আলোকসজ্জাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

 

পূজাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এই উপলক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে বুধবার ও পরদিন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি থাকবে। এর সঙ্গে শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হওয়ায় দেশবাসী টানা চার দিনের ছুটি উপভোগের সুযোগ পাবে।

 

এবারের পূজার প্রধান তিথিগুলো হলো- ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী।


শাস্ত্রীয় মতে, এ বছর দুর্গার আগমন হচ্ছে গজে (হাতি), যা শান্তি, সমৃদ্ধি ও শস্য-শ্যামলার প্রতীক। তবে দুর্গার প্রস্থান হবে দোলায় (পালকি), যা অশুভ বলে বিবেচিত এবং মহামারী বা মড়কের ইঙ্গিত বহন করে।

 

শাস্ত্রকারদের ব্যাখ্যা অনুসারে, দুর্গা ভক্তদের সব ধরনের বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ, শোক, জ্বালা ও যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করেন। ‘মহাচণ্ডী’তে উল্লেখ রয়েছে যে ত্রেতা যুগে রামচন্দ্র রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শক্তি বৃদ্ধির আশায় শরৎকালে মহামায়ার পূজা করেছিলেন, যার ফলে তিনি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। সেই থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর শরৎকালে দুর্গাপূজা পালন করে আসছেন।

 

মতপার্থক্য সত্ত্বেও একসঙ্গে দাঁড়ানোই আসল শক্তি: তাসনিম জারা
উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, বিজিবি এবং স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে। রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।

 

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মণ্ডপে পূজার পাশাপাশি ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, বস্ত্র ও মহাপ্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা এবং বিজয়া শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। এছাড়া রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজারসহ বিভিন্ন মন্দিরে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

 

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়সহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

Side banner